প্রতারনা

প্রতিদিনের ইসলামী পোস্ট - Get Study Online

প্রতারনা

হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ভাইয়েরা ওনাকে গভীর অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করার পর ওনার কামিজ মুবারক যেটা কূপে ফেলার সময় ওনার শরীর থেকে খুলে নেয়া হয়েছিল, সেটা ছাগলের রক্তে রঞ্জিত করে সাথে নিয়ে আনলো। বাড়ীর কাছাকাছি পৌঁছার পর ওনারা মায়াকান্না শুরু করলো। ইয়াকুব আলাইহিস সালাম ওদের এ অভিনয় দেখে জিজ্ঞেস করলেন, আমার ছেলের কি হল, ইউসুফ কোথায়? ওরা কেঁদে কেঁদে বললো, আব্বাজান, আমরা একে অপরের সাথে দৌড়াদৌড়ি করতে ছিলাম। কার থেকে কে বেশী দৌড়াতে পারে, এ প্রতিযোগীতায় আমরা অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম। ইউসুফকে আমরা আমাদের জিনিসপত্রের কাছে বসায়ে রেখেছিলাম। সে একাকী সেখানে বসাছিল। একটি নেকড়ে বাঘ এ সুযোগে ওকে খেয়ে ফেলছে, এটা ওর রক্তে রঞ্জিত কামিছ। আব্বাজান। আমরা জানি, আপনি আমাদের কথায় আস্থা রাখবেন না। কিন্তু আসলে ঘটনা এটাই হয়েছে। হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম বললেন, ছেলেরা! এটা তোমাদের বানানো কথা। যাহোক আমি ধৈর্য ধারণ করবো এবং আল্লাহ তাআলার কাছেই এর বিচার চাইবো।

(কুরআন করীম ১২ পারা, ১২ আয়ত, খাযায়েনুল এরফান ৩৩৬ পৃঃ)

সবক: জালিম স্বীয় জুলুম লুকানোর জন্য বিভিন্ন প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে থাকে এবং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য কাঁন্নাকাটি করেও দেখায়। তাই প্রত্যেক ক্রন্দনকারী সত্যবাদী নয়। কামিছকে নকল রক্তে রঞ্জিত করে আসল রক্ত বলাটাও জালিয়াতী। ইয়াকুব আলাইহিস সালামের এটা জানা ছিল যে আমার ছেলে ইউসুফকে বাঘে খায়নি। বরং এটা ওদের মনগড়া বানানো কথা। যেখানে ইউসুফ আলাইহিস সালামের ডাইয়েরা অভিনয়মূলক কান্নাকাটি শুরু করে দিলেন, সেখানে আল্লাহর নবী হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম ধৈর্যের পরাকাষ্ট। দেখালেন। যেন এটাই প্রমানিত হয় যে ক্রন্দন নয়, ধৈর্য প্রদর্শনই হক।

Related posts

Leave a Comment