উজ্জল কামিছ হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে যখন ওনার ভাইয়েরা একটি গভীর কূপে নিক্ষেপ করলো, তখন জিব্রাইল আলাইহিস সালামকে আল্লাহ তাআলা হুকুম করলেন, হে জিব্রাইল। সিদরাতুল মুনতাহা থেকে এ মূহুর্তে উড়ান দাও এবং ইউসুফ কূপের নিচে পৌঁছার আগেই তোমার পালকে উঠায়ে নাও এবং খুবই আরামের সাথে সেই পাথরের উপর বসায়ে দাও, যেটা কূপের এক কিনারে রয়েছে। নির্দেশ মতে জিব্রাইল আমীন চোখের পলকে ওখানে পৌছে গেলেন এবং হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে স্বীয় পালকের উপর নিয়ে আরামের সাথে সেই পাথরের উপর বসায়ে দিলেন। ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের কামিছ, সেটা ইয়াকুব আলাইহিস সালাম তাবিজ বানিয়ে…
Read MoreAuthor: Md Imran Hossen
প্রতারনা
প্রতারনা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের ভাইয়েরা ওনাকে গভীর অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করার পর ওনার কামিজ মুবারক যেটা কূপে ফেলার সময় ওনার শরীর থেকে খুলে নেয়া হয়েছিল, সেটা ছাগলের রক্তে রঞ্জিত করে সাথে নিয়ে আনলো। বাড়ীর কাছাকাছি পৌঁছার পর ওনারা মায়াকান্না শুরু করলো। ইয়াকুব আলাইহিস সালাম ওদের এ অভিনয় দেখে জিজ্ঞেস করলেন, আমার ছেলের কি হল, ইউসুফ কোথায়? ওরা কেঁদে কেঁদে বললো, আব্বাজান, আমরা একে অপরের সাথে দৌড়াদৌড়ি করতে ছিলাম। কার থেকে কে বেশী দৌড়াতে পারে, এ প্রতিযোগীতায় আমরা অনেক দূরে চলে গিয়েছিলাম। ইউসুফকে আমরা আমাদের জিনিসপত্রের কাছে বসায়ে রেখেছিলাম। সে…
Read Moreভাগ্যবান কাফেলা
ভাগ্যবান কাফেলা হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামকে ওনার ভাইয়েরা জংগলের অন্ধকার কূপে নিক্ষেপ করে চলে গেল এবং ওরা মনে করেছিল যে ইউসুফ মারা গেছেন। কিন্তু আল্লাহ তাআলা হযরত ইউসুফকে কূপে নিরাপদে রাখলেন। তিন দিন পর্যন্ত তিনি সেই কূপে ছিলেন। এ কূপ আবাদীথেকে অনেক দূরে জংগলে ছিল এবং এর পানি সীমাহীন লবণাক্ত ছিল। কিন্তু হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালামের বরকতে সেটা মিটা পানি হয়ে গিয়েছিল। একদিন ঐ স্থান দিয়ে এক কাফেলা যাচ্ছিল। এ কাফেলা মদয়ান থেকে মিশর যাচ্ছিল। এ কাফেলা সেই কূপের কাছে যাত্রা বিরতি করলো। কাফেলার একজন লোককে সেই কূপ থেকে পানি…
Read Moreপ্রদীপ ও উৎসর্গিত পতঙ্গ সমূহ
প্রদীপ ও উৎসর্গিত পতঙ্গ সমূহ হযরত ইউসুফের ভাইয়েরা ইউসুফ আলাইহিস সালামকে অন্ধকার কূপে ফেলে দিল। আল্লাহতালা ওনাকে বাঁচিয়ে রাখলেন। এক ভাগ্যবান কাফেলা ঐদিক দিয়ে যাবার পথে কূপ থেকে পানি উঠাতে গেলে, বালতির সাথে ইউসুফ আলাইহিস সালাম বের হয়ে আসেন এবং কাফেলার ভাগ্য তাঁরা চমকিয়ে উঠলো। এ ভাগ্যবান কাফেলা ইউসুফ আলাইহিস সালামকে মিশর নিয়ে যায়। মিশরে যখন ইউসুফ আলাইহিস সালামের অনন্য সৌন্দর্যের খবর ছড়িয়ে পড়ে, তখন হাজার হাজার লোক সাত সকালে কাফেলা প্রধানের বাড়ীতে ভীড় জমায়। কাফেলা প্রধান ঘরের ছাদে উঠে দরাজ গলায় বললো, আপনারা এখানে কি জন্য এসেছেন? ওরা বললো,…
Read Moreপ্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – হযরত ইউসুফ (আ.) ও ফারেগা শাহজাদীর ঈমান আনার কাহিনি
প্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – হযরত ইউসুফ (আ.) ও ফারেগা শাহজাদীর ঈমান আনার কাহিনি হযরত ইউসুফ (আ.)-কে যখন মিশরের বাজারে বিক্রি করার জন্য আনা হলো, তখন হাজার হাজার নারী-পুরুষ তাঁকে দেখার জন্য ভিড় করেছিল। তাঁদের মধ্য থেকে ফারেগা নামের মিশরের এক শাহজাদী, গাধার পিঠে প্রচুর ধন-সম্পদ নিয়ে ইউসুফ (আ.)-কে ক্রয় করার জন্য এগিয়ে এলেন। ফারেগা যখন হযরত ইউসুফ (আ.)-এর মুখশ্রী দেখলেন, তখন তাঁর চোখ ঝলসে উঠলো এবং তিনি বিস্ময়ে বললেন:“হে ইউসুফ! আপনি কে? আপনার রূপ ও সৌন্দর্য দেখে আমি মুগ্ধ ও অজ্ঞানপ্রায়। আমি আপনাকে কেনার জন্য যে সম্পদ এনেছি, তা আপনার…
Read Moreআজিজ মিসর
যে সময় ইউসুফ আলাইহিস সালামকে মিসরের বাজারে আনা হয়েছিল, সে সময় মিসরের বাদশা ছিল আয়ান ইবনে ওলিদ আমলিকী। সে তার রাজত্বের লাগাম কতফির মিসরীর হাতে দিয়ে রেখেছিল। সমস্ত রাজকোষ ওর অধীনে ও কর্তৃত্বাধীনে ছিল। ওকে আজিজ মিসর বলা হতো এবং সে বাদশাহর উজীরে আযম ছিল। যখন ইউসুফ আলাইহিস সালামকে বাজারে। বিক্রির জন্য আনা হলো, তখন প্রত্যেকের মনে তাঁকে পাওয়ার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি হলো। ক্রেতারা প্রতিযোগিতা করে দাম বাড়াতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত তাঁর ওজন বরাবর সোনা এবং সেই পরিমান চান্দি, মেশক ও রেশমী বস্ত্র মূল্য ধার্য হলো। তাঁর ওজন ছিল চারশ…
Read Moreজুলেখা
জুলেখা খুবই সুন্দরী মহিলা ছিলেন। তিনি ছিলেন, তাইমুস বাদশাহের কন্যা। তিনি এক রাত্রে এক অপূর্ব সুন্দর যুবককে স্বপ্ন দেখলেন এবং ওকে জিজ্ঞেস করলেন, তুমি কে? সে জবাব দিল আমি আজিজ মিসর। জুলেখার মনে এ স্বপ্নটা ভীষন রেখাপাত করলো এবং সর্বক্ষন সেই স্বপ্নটা তাঁর মনে জাগরুক রইলো। বড় বড় বাদশাহের পক্ষ থেকে বিবাহের প্রস্তাব আসলো, কিন্তু তিনি অসম্মতি জ্ঞাপন করলেন। এবং নিজের মনোভাব ব্যক্ত করে বলে দিলেন যে, তিনি আজিজ মিসর ব্যতীত অন্য কাউকে বিবাহ করবেন না। অতএব শাহ তাইমুস আজিজ মিসরের সাথে স্বীয় কন্যার বিবাহ দিয়া দিলেন। জুলেখা আজিজ মিসরকে…
Read Moreসৌন্দর্যের প্রভাব
জুলেখা হযরত ইউসুফের প্রেমে স্বীয় হুঁশ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে ছিলেন। তাঁর এ প্রেমের কথা সারা মিসরে ছড়িয়ে গেল। অভিজাত ঘরের মহিলারা বলাবলি করতে লাগলো যে জুলেখা একটি যুবকের প্রেমে বিভোর হয়ে স্বীয় মান মানি), লজ্জা-শরমের কোন তোয়াকা করলো না। জুলেখা যখন তাঁর সম্পর্কে এ সব সমালোচনা শুনলেন, তখন একটি দাওয়াতের আয়োজন করলেন এবং এতে মিসরের অভিজাত পরিবাবের চল্লিশ জন মহিলাকে দাওয়াত দিলেন। মাওয়াত কৃত মহিলাদের মধ্যে ওসব মহিলারাও ছিল, যারা জুলেখার সমালোচনা করতো। জ লেখা ওদের বসার জন্য প্যান্ডেল তৈরী করালেন। একান্ত ইজ্জত সন্মানের সাথে ওদেরকে বসালেন এবং ওদের সামনে…
Read Moreবাবুর্চী ও শরাব পরিবেশনকারী
জ্বলেখা ইউসুফ আলাইহিস সালামকে কোনঠাসা করার ও তাঁর বশে আনার উদ্দেশ্যে যে কোন বাহানায় ওনাকে জেল খানায় পাঠিয়ে দিলেন। যেদিন ইউসুফ আলাইহিস সালাম জেলে গেলেন, সেদিন তাঁর সাথে আরও দু’জন যুবককেও জেল খানায় প্রবেশ করানো হয়। এ দু’জন মিসরের বাদশাহ আমলেকীর বিশিষ্ট অনুচর ছিল। একজন ছিল শরাব পরিবেশন কারী এবং অপর জন ছিল বাবুর্চী। উভয়ের বিরুদ্ধে বাদশাহকে বিষ প্রয়োগের অভিযোগ ছিল। জেল খানায় হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম তাঁর জ্ঞান গরিমা প্রকাশ করতে লাগলেন। তিনি। তথায় তৌহিদের প্রচার শুরু করলেন, এবং তিনি এটাও প্রকাশ করলেন যে, তিনি স্বপ্নের ভাবীর খুবই ভাল…
Read Moreবাদশাহের স্বপ্ন
মিসরের বাদশাহ আয়ান বিন ওলীদ আমলেতী এক রাত্রে স্বপ্ন দেখলো যে, সাতটি রিষ্টপুষ্ট। গাভী, যেগুলোকে সাতটি দুর্বল গাড়ী খাচ্ছে এবং সাতটি তরতাজা গমের শীষ যেগুলোকে সাতটি শুকনো শীষ খাচ্ছে। বাদশাহ এ অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লেন। বড় বড় যাদুকর ও ভবিষ্যদ্বক্তার কাছে এ স্বপ্নের ভাবীর জিজ্ঞেস করলেন, কিন্তু কেউ এ স্বপ্নের ভাবীর করতে পারলো না। বাদশাহের শরাব পরিবেশন কারী, যে জেল খানায় ছিল এবং ইউসুফ আলাইহিস সালামের তাবীর মুতাবেক স্বীয় পদে বহাল হয়েছিল, সে বাদশাহকে বললো, জেলখানায় এমন একজন আলেম আছেন, যিনি স্বপ্নের তাবীর করার ব্যাপারে খুবই বিজ্ঞ।…
Read More