হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ও মলকুল মউত হুযূর সরওয়ারে আলম (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) এর যখন রেছাল শরীফের সময় হলো, তখন মৃত্যুর ফিরিশতা হযরত জিব্রাইলকে সাথে নিয়ে হাজির হলো। হযরত জিব্রাইল আমীন আরয করলেন, ইয়া রসুলল্লাহ! মৃত্যুর ফিরিশতা এসেছে এবং আপনার অনুমতি প্রার্থনা করছে। হুযূর, সে আজ পর্যন্ত কোন সময় কারো থেকে অনুমতি নেয়নি এবং আপনার পরেও কারো থেকে অনুমতি নেবে না। আরও বললেন, হুযূর! আপনি অনুমতি দিলে, সে স্বীয় কর্তব্য পালন করতে পারে। হুযূর! ফরমালেন, মৃত্যুর ফিরিশতাকে সামনে আসতে বল। অতঃপর মৃত্যুর ফিরিশতা সামনে এগিয়ে এলেন এবং আরয করলেন, ইয়া…
Read MoreCategory: Islamic Posts
প্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – নেকড়ে বাঘের সাক্ষ্য
প্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – নেকড়ে বাঘের সাক্ষ্য মদীনা মনোয়ারার কোন এক পাহাড়ী এলাকায় এক রাখাল ছাগল চড়াতে ছিল। হঠাৎ একটি নেকড়ে বাঘ এসে ছাগলের পালের ভিতর ঢুকে একটি ছাগল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। রাখাল ধাওয়া করে বাঘ থেকে ছাগলটি উদ্ধার করলো। বাঘ যখন দেখলো যে ওর শিকারটা কেড়ে নিয়ে নিল, তখন এক টিলার উপর উঠে সুস্পস্ট ভাষায় বলতে লাগলো, ওহে রাখাল! আল্লাহ আমাকে রিজিক দিয়েছিল কিন্তু আফসোস! তুমি তা আমার থেকে ছিনিয়ে নিলে। রাখাল বাঘকে কথা বলতে দেখে বিস্মিত হয়ে বললো আশ্চার্য ব্যাপার! বাঘও কথা বলে। আরো পড়ুন : উত্তম চরিত্র নিয়ে…
Read Moreপ্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – দুগ্ধপোষ্য শিশুর সত্যবানী ঘোষণা
প্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – দুগ্ধপোষ্য শিশুর সত্যবানী ঘোষণা অলৌকিক ঘটনা: নবীজিকে চিনতে পারা এক শিশুর গল্প একদিন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবাদের সঙ্গে এক সমাবেশে বসেছিলেন। এমন সময় এক বিধর্মী মহিলা তার মাত্র দুই মাস বয়সী দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে সেখানে দিয়ে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ সেই শিশু রাসুলুল্লাহকে দেখে সুস্পষ্ট কণ্ঠে বলে উঠল: السَّلامُ عَلَيْكَ يَارَسُولَ اللهِ وَيَا أَكْرَمَ خَلْقِ اللهِ(হে আল্লাহর রাসূল! হে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানিত সৃষ্টি! আপনার প্রতি সালাম।) মা অবাক হয়ে গেলেন। দুই মাসের শিশু কীভাবে কথা বলল? তিনি শিশুকে জিজ্ঞেস করলেন, “বেটা, তোমাকে এই কথা কে শিখিয়েছে?…
Read Moreপ্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – বনের হরিণী
প্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – বনের হরিণী এক জংগলে এক হরিনী বাস করতো, ওর দুটি বাচ্ছা ছিল। একবার সে খাদ্যের সন্ধানে বের হয়ে রাস্তার ধারে শিকারীর পাতানো জালে আটকে যায়। তখন সে খুবই চিন্তিত হয়ে পড়লো। ওর সুভাগ্য দেখুন, হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) সেই জংগল দিয়ে যাবার সময় ওর নজরে পড়লো। সে হুয়ূরকে দেখার সাথে সাথে ডাক দিয়ে উঠলো, ইয়া রসুলল্লাহ! আমার প্রতি দয়া করুন। হুযূর ওর ডাক শুনে ওর কাছে গেলেন এবং জিজ্ঞেস করলেন, তোমার কি সমস্যা? সে বললো, হুযূর আমি এ বেদুইনের জালে আটকে গেছি। আমার দুটি ছোট ছোট…
Read Moreএক বিধর্মিনীর ঘর
হুযুর (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) মক্কা বিজয়ের পর মক্কা মুয়াজ্জমার এক বিধর্মী মহিলার ঘরের দেয়ালে ঠেস দিয়ে তাঁর কোন এক খাদিমের সাথে কথা বলছিলেন। সেই বিধর্মী মহিলা যখন জানতে পারলো যে মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) ওর ঘরের দেয়ালে ঠেস দিয়ে দাঁড়িয়েছেন, তখন সে হিংসা ও বিদ্বেষের বশবর্তী হয়ে ঘরের সব জানালা বন্ধ করে দিল, যেন সে হুযুরের কণ্ঠস্বর শুনতে না পায়। সেই মূহুর্তে জিব্রাঈল আমীন উপস্থিত হয়ে আরয করলেনঃ ইয়া রসুলল্লাহ! আল্লাহ তাআলা ফরমান, যদিওবা এ মহিলা অমুসলিম কিন্তু আপনার শানমান বড় মহৎ, অনেক উচ্চ। যেহেতু এ অমুসলিম মহিলার দেয়ালের সাথে…
Read Moreদুনিয়া-পূজারীর পরিণতি
হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম একবার সফরে বের হলে এক ইহুদী তাঁর সফর সঙ্গী হয়েছিল। সেই ইহুদীর কাছে দুটি রুটি ছিল এবং ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে ছিল একটি রুটি। হযরত ঈস আলাইহিস সালাম ইহুদীকে বললেন, এসো, আমরা দু’জন একসাথে বসে রুটি খাই। ইহুদী রাজি হলো কিন্তু যখন দেখলো যে ঈসা আলাইহিস সালামের কাছে মাত্র একটি রুটি আর ওর কাছে দুটি রুটি রয়েছে, তখন অনুশোচনা করলো যে, কেন একসাথে রুটি খাওয়ার ওয়াদা করলাম। যাহোক যখন খেতে বসলো, ইহুদী মাত্র একটি রুটি বের করলো। ঈসা আলাইহিস সালাম বললেন, তোমার কাছেতো দু’টি রুটি ছিল,…
Read Moreব্যর্থ হত্যাকারী
ইহুদীরা হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের বড় দুশমন ছিল। একদিন ইহুদীদের একটি দল হযরত ঈস আলাইহিস সালামকে গালিগালাজ করলো এবং এ রকম বললো তুমি যাদুকর, তোমার মাও যাদুকর এবং তুমি অসৎ, তোমার মাও অসতী (মাযাল্লা)। এ কথায় হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম খুবই মনঃকষ্ট পেলেন এবং আল্লাহর কাছে ফরিয়াদ করলেন-হে আল্লাহ। আমি তোমার নবী। এ সব লোকেরা আমাকে ও আমার মাকে যা-তা বলছে। হে আল্লাহ। ওদেরকে তোমার আজাবের মজা দেখাও। তাঁর এ দুআ কবুল হলো এবং সেই ইহুদীর দল বানর ও শুকুর হয়ে গেল। ইহুদীদের প্রধান যখন এ ঘটনার কথা শুনলো, তখন…
Read Moreঅজু করার নিয়ম ও পদ্ধতি এবং সওয়াব
অজু করার নিয়ম ও পদ্ধতি এবং সওয়াব অযুর সাওয়াব আমলের প্রধান শর্ত হলো নিয়্যত, যদি কারো আমলের মধ্যে ভাল নিয়্যত না থাকে, তবে তার সাওয়াব পাবেনা। একই অবস্থা অযুর মধ্যেও। যেমনিভাবে- দা’ওয়াতে ইসলামীর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান মাকতবাতুল মদীনা কর্তৃক প্রকাশিত ১২৫০ পৃষ্ঠা সম্বলিত কিতাব “বাহারে শরীয়াত” (সংশোধিত) এর ১ম খন্ডের ২৯২ পৃষ্ঠায় বয়েছে; অযুতে সাওয়াব পাওয়ার জন্য আল্লাহ্ তাআলার হুকুম পালনের নিয়্যতে অযু করাটা জরুরী, অন্যথায় অযু হয়ে যাবে, তবে সাওয়াব পাবে না। আ’লা হযরত رَحۡمَۃُ اللّٰہ ِتَعَالٰی عَلَیہِ বলেন: অযুর মধ্যে নিয়্যত না করার অভ্যস্থ ব্যক্তি গুনাহগার হবে, এতে নিয়্যত…
Read Moreঅন্ধ ও লেংড়া চোর
অন্ধ ও লেংড়া চোর হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম তখনও অল্প বয়স্ক তাঁর মায়ের সাথে মিসরের এক বড় আমীরের সেখানে মেহমান হয়েছেন। সেই আমীরের সেখানে অনেক গরীব ও অভাবী ব্যক্তি সব সময় মেহমান হিসেবে থাকে। ঘটনাক্রমে একদিন আমীরের কিছু মাল চুরি হয়ে যায় এবং সেখানে অবস্থানকারী ফকীর মিসকিনদের উপর তার সন্দেহ হয়। ঈসা আলাইহিস সালাম তাঁর মাকে বললেন, আমীরকে বলুন, এসব লোকদেরকে যেন এক জায়গায় জমায়েত করা হয়। যখন সবাইকে এক জায়গায় জমায়েত করা হলো, হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম গিয়ে ওদের মধ্যে থেকে এক খোঁড়া ব্যক্তিকে উঠায়ে এক অন্ধ ব্যক্তির কাঁধের…
Read Moreহযরত আদম আলাইহিস সালাম ও ইবলিস
হযরত আদম আলাইহিস সালাম ও ইবলিস আল্লাহ তাআলা ফিরিশতাগণের মধ্যে যখন ঘোষণা করলেন যে, আমি পৃথিবীতে আমার এক খলিফা সৃষ্টি করার মনস্থ করেছি। তখন অভিশপ্ত শয়তান এটাকে খুবই খারাপ মনে করলো এবং মনে মনে হিংসার আগুলে জ্বলতে লাগলো। অতঃপর যখন আল্লাহ তাআলা হযরত আদম (আলাইহিস সালাম)কে সৃষ্টি করে ফিরিশতাগণকে নির্দেশ দিলেন আমার খলিফার সামনে মাথানত কর তখন সবাই মাথানত করলেন কিন্তু অভিশপ্ত শয়তান অটল রইলো, মাথানত করলো না। ওর এ অহমিকা আল্লাহর কাছে পছন্দ হলো না। ওকে জিজ্ঞেস করলেন, হে ইবলিস, আমি যখন আমার কুদরতী হস্তে সৃষ্ট খলিফার সামনে মাথানত…
Read More