প্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – দুগ্ধপোষ্য শিশুর সত্যবানী ঘোষণা

প্রতিদিনের ইসলামী পোস্ট - Get Study Online

প্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – দুগ্ধপোষ্য শিশুর সত্যবানী ঘোষণা

অলৌকিক ঘটনা: নবীজিকে চিনতে পারা এক শিশুর গল্প

একদিন রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সাহাবাদের সঙ্গে এক সমাবেশে বসেছিলেন। এমন সময় এক বিধর্মী মহিলা তার মাত্র দুই মাস বয়সী দুধের শিশুকে কোলে নিয়ে সেখানে দিয়ে যাচ্ছিলেন।

হঠাৎ সেই শিশু রাসুলুল্লাহকে দেখে সুস্পষ্ট কণ্ঠে বলে উঠল:

السَّلامُ عَلَيْكَ يَارَسُولَ اللهِ وَيَا أَكْرَمَ خَلْقِ اللهِ
(হে আল্লাহর রাসূল! হে সর্বশ্রেষ্ঠ সম্মানিত সৃষ্টি! আপনার প্রতি সালাম।)

মা অবাক হয়ে গেলেন। দুই মাসের শিশু কীভাবে কথা বলল? তিনি শিশুকে জিজ্ঞেস করলেন, “বেটা, তোমাকে এই কথা কে শিখিয়েছে? আর ইনি যে আল্লাহর রাসূল, তা তুমি কীভাবে জানলে?”

আরো পড়ুন : উত্তম চরিত্র নিয়ে ইসলামিক উক্তি এবং হাদিস

শিশুটি জবাব দিল, “হে মা! আমাকে এই কথা শেখিয়েছেন সেই আল্লাহ, যিনি সব মানুষকে কথা বলার শক্তি দিয়েছেন। আমার মাথার উপর জিবরাইল (আলাইহিস সালাম) দাঁড়িয়ে আছেন। তিনিই আমাকে জানিয়েছেন যে, ইনি আল্লাহর রাসূল।”

মা এ অলৌকিক ঘটনা দেখে তাৎক্ষণিক কালেমা পাঠ করে ইসলাম গ্রহণ করলেন।

আরো পড়ুন : প্রতিদিনের ইসলামিক গল্প – নেকড়ে বাঘের সাক্ষ্য

মাওলানা রুমী (রহমতুল্লাহি আলাইহি) তার মসনবী শরীফে লিখেছেন যে, হুযূর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) শিশুটিকে জিজ্ঞেস করলেন, “তোমার নাম কী?”

শিশুটি বলল:

عبد عزی پیش این یکمشت چیز – ليك نامم پیش حق عبد العزيز
(ইয়া রাসূলুল্লাহ! আমার মা আমাকে আবদে উয্যা নামে ডাকেন, কিন্তু আল্লাহর কাছে আমার নাম আবদুল আযিজ।)
(সূত্র: নাযহাতুল মাজালিস, খণ্ড-২, পৃষ্ঠা-৭২)

পাঠ: এই ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয় যে, নবীজিকে চিনে মান্য করার শক্তি এমনকি একটি শিশু পর্যন্ত পায়। এমনকি এই শিশু নিজের মাকে জান্নাতের পথে নিয়ে গেল। কিন্তু অত্যন্ত আফসোসের বিষয়, যারা প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে নবীজিকে চিনল না বা মান্য করল না। তাদের গোমরাহী ও বেয়াদবির কারণে তারা শুধু নিজেরাই ধ্বংস হলো না, অন্যদেরকেও ধ্বংসের পথে নিয়ে গেল।

Related posts

Leave a Comment