হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম যখন একটু বড় হলেন এবং এদিক সেদিক ঘুরাফেরা করতে লাগলেন, তখন মরিয়ম আলাইহিস সালাম ওনাকে নিয়ে এক ওস্তাদের কাছে গেলেন এবং ওনাকে পড়াতে বললেন। ওস্তাদ হযরত ঈসা আলাইহিস সালামকে বললেন, হে ঈসা। পড়, বিসমিল্লাহ। ঈসা আলাইহিস সালাম বললেন-বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। ওস্তাদ পুনরায় বললেন, বল আলিফ, বা, জীম, দাল। ঈসা আলাইহিস সালাম বললেন, আপনি কি জানেন, এ বর্ণ গুলোর অর্থ কি? ওস্তাদ বললেন, এ বর্ণগুলোর অর্থ তো আমি জানিনা। ঈসা আলাইহিস সালাম বললেন, তাহলে আমার থেকে শুনুন। আলিফ দ্বারা আল্লাহ, বা দ্বারা অল্লাহর সন্তুষ্টি, জ ীম দ্বারা আল্লাহর জালালিয়াত এবং দাল দ্বারা আল্লাহর দীন বুঝানো হয়েছে। ওস্তাদ মরিয়ম আলাইহিস সালামকে বললেন, আপনি ছেলেটা নিয়ে যান। এ ছেলে কোন ওস্তাদের মুখাপেক্ষী নয়। আমি ওকে কি পড়াবো, সেতো আমাকে পড়াচ্ছে। (নজহাতুল মাজালিস ৪৩২ পৃঃ ২ জিঃ)
সবক: নবীগণ কোন দুনিয়াবী শিক্ষকের মোহতাজ হন না। ওনাদের ওস্তাদ ও প্রশিক্ষক স্বয়ং আল্লাহ। নবীগণ এমন অনেক অনেক বিষয়ে জ্ঞাত, যেগুলো সম্পর্কে অন্য লোকেরা সম্পূর্ণ অজ্ঞ।