হযরত ইয়াকুব আলাইহিস সালাম আপন সন্তানদেরকে বললেন-আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না এবং ইউসুফের সন্ধান কর। সুতরাং ওরা পুনরায় মিসর গেল এবং ইউসুফ আলাইহিস সালামের খেদমতে হাজির হয়ে বলতে লাগলো, হে মিসরের অধিপতি। আমরা খুবই মুছিবতে আছি, আমাদের নগন্য পুঁজি গ্রহন করে অধিক খাদ্য শস্য প্রদান করুন এবং রিলিফ হিসেবেও কিছু দিন। হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম ভাইদের এ অনুনয় বিনয় শুনে ও দুঃখ ভারাক্রান্ত দেখে বললেন, তোমাদের কি স্মরণ আছে, তোমরা ইউসুফ ও ওর ভাই এর সাথে কি আচরণ করেছ? অর্থাৎ ইউসুফকে মারধর করা, কূপে ফেলে দেয়া, বিক্রি করা এবং এর পরে ওর ভাইকে জ্বালাতন করা, কষ্ট দেয়া এসব কিছু স্মরণ আছে? এটা বলার পর কি যেন মনে পড়ে হঠাৎ ইউসুফের হাসি এসে গেল। তখন ভাইয়েরা হযরত ইউসুফের দাঁতের সৌন্দর্য দেখে দৃঢ় ধারনা হলো যে, এ ইউসুফের অনুরূপ। তারা সবিস্ময়ে জিজ্ঞাসা করলো, আপনিই কি ইউসুফ? বললেন, হ্যাঁ, আমিই ইউসুফ এবং এ আমার ভাই বিন ইয়ামিন। আল্লাহতাআলা আমাদের উপর বড় ইহসান করেছেন। আল্লাহতাআলা পরহিজগার ও ধৈর্যশীল বান্দাদের প্রাপ্য প্রতিদান বিনষ্ট করেন না।
ভাইয়েরা লজ্জায় মস্তকাবনত হয়ে বললো, খোদার কসম, নিশ্চয় আল্লাহতাআলা আপনাকেআমাদের উপর ফযীলত দিয়েছেন এবং আমরা বাস্তবিকই অপরাধী। হযরত ইউসুফ আলাইহিস সালাম বললেন, ভাইয়েরা। আমার পক্ষ থেকে তোমাদের উপর কোন অভিযোগ নেই। আল্লাহ তোমাদেরকে মাফ করুক। তিনি বড় মেহেরবান।
(কুরআন শরীফ ১৩ পারা ৪ আরাত, খাযায়েনুল এরফান ৩৪৯পৃঃ)
সবক: আল্লাহের মকবুল বান্দাগনের এটা স্বভাব যে, ওনারা কারো থেকে বৈধ বদলা নেয়ার ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও মাফ করে দেন এবং কোন রকম তিরষ্কার করেন না।