প্রশ্নোত্তর: নারী-পুরুষ এক সাথে জামাআত আদায় করা যাবে কিনা? প্রশ্ন: কিছু দিন পূর্বে মসজিদে পরপর দুটি ঘটনায় দেখেছি, জামাতের পর বারান্দায় পুরুষদের কাতারের সামনেই বা পেছনে ২-১ জন মহিলা নামায আদায় করছেন। এটি মসজিদের পরিবেশ ও আদবের পরিপন্থী মনে হয়েছে। প্রশ্ন হলো, এমনভাবে মহিলাদের নামায আদায় করা শরীয়তের দৃষ্টিতে সঠিক কি না? বিষয়টি জানালে উপকৃত হবো। উত্তর: মহিলাদের জন্য ঘরের মধ্যে পর্দার সঙ্গে নামায আদায় করাই সবচেয়ে প্রিয়, অধিক ফজিলতময় এবং তাদের ইজ্জত ও সম্মান রক্ষার জন্য সর্বোত্তম। যদিও হজ ও ওমরার ক্ষেত্রে বিশেষ বিধান রয়েছে, কিন্তু সাধারণ অবস্থায় মসজিদে…
Read MoreCategory: Islamic Posts
ইমাম আবু হানিফা (রহ.) ও নাস্তিক পণ্ডিতের বিতর্ক
একবার আল্লাহর অস্তিত্বে অস্বীকারকারী এক নাস্তিকের সাথে আমাদের হযরত ইমাম আযম আবু হানিফা (রাদিআল্লাহু আনহু) এর সাথে মুনাজেরা হয়েছিল। মুনাজেরার বিষয় ছিল- পৃথিবীর কোন সৃষ্টিকর্তা আছে কিনা। এতবড় ইমামের সাথে এ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের মুনাজেরা দেখার জন্য শত্রু-মিত্র সবাই যথা সময়ে মুনাজেরার স্থানে সমবেত হয়ে গেল। নাস্তিক লোকটিও যথাসময়ে পৌঁছে গেল। কিন্তু হযরত ইমাম আযম নির্ধারিত সময়ের অনেক দেরীতে সমাবেশে তশরীফ আনলেন। নাস্তিক পণ্ডিত ব্যক্তিটি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি এত দেরী করলেন কেন? তিনি বললেন, জংগল দিয়ে আসার সময় এক অদ্ভুত ঘটনা চোখে পড়লো, সেটা দেখে আমি আশ্চর্য হয়ে ওখানে থমকে দাঁড়িয়ে…
Read Moreমোবাইলে কোরআন ও হাদিস থাকলে তা নিয়ে টয়লেটে যাওয়া যাবে কি?
প্রশ্নোত্তর: মোবাইলে পবিত্র ক্বোরআন শরীফ, হাদীস শরীফ থাকলে সাথে নিয়ে পায়খানা – প্রস্রাবখানায় যাওয়া যাবে কিনা? প্রশ্ন: বর্তমানে অনেক ধরনের মোবাইল সেট রয়েছে- কোন কোন মোবাইলে কিছু সফটওয়্যার রাখা হয়। যাতে রয়েছে- পবিত্র ক্বোরআন শরীফ, বোখারী শরীফ, তিরমিযী শরীফ ইত্যাদি। আবার এসব মোবাইলে রাখা হয় কিছু অশ্লীল খারাপ ছবিও। এ সব মোবাইল ব্যবহার করা এবং সাথে নিয়ে পায়খানা-প্রস্রাবখানায় যাওয়া শরীয়ত সম্মত হবে কি না? জানালে উপকৃত হব। উত্তর: প্রযুক্তির উন্নত উৎকর্ষের এই যুগে আপডেট মোবাইল হেন্ডসেট ফোন যোগাযোগের জন্য একটি জনপ্রিয় ও নিত্য প্রয়োজনীয় মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃত। এসব প্রযুক্তি…
Read Moreউত্তম চরিত্র নিয়ে ইসলামিক উক্তি এবং হাদিস
উত্তম চরিত্র নিয়ে ইসলামিক উক্তি এবং হাদিস উত্তম চরিত্রের ফযীলত ইসলামে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন: “মুমিনদের মধ্যে পূর্ণ ঈমানদার সে, যার চরিত্র উত্তম।” (সুনান আত-তিরমিজি: ১১৬২) উত্তম চরিত্র মানুষের দুনিয়া ও আখিরাতের উন্নতির প্রধান মাধ্যম। এটি শুধু মানুষকে আল্লাহর নৈকট্যেই নিয়ে যায় না, বরং সমাজে শান্তি ও সুসম্পর্ক গড়ে তোলে। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আরও বলেছেন: “আমি উত্তম চরিত্র পূর্ণতার জন্যই প্রেরিত হয়েছি।” (মুসনাদে আহমদ: ৮৯৫২) তাই, সুন্দর আখলাক যেমন সত্যবাদিতা, ধৈর্য, দয়া, ন্যায্যতা, ক্ষমাশীলতা ইত্যাদি গুণাবলী অর্জনের চেষ্টা করা প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব। উত্তম…
Read More