ট্রাম্প ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে কেমন ছিলেন

0
1
ট্রাম্প ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে কেমন ছিলেন
ট্রাম্প ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে কেমন ছিলেন
Advertisements
Rate this post

ট্রাম্প ফিলিস্তিনের বিপক্ষে প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসাবে কেমন ছিলেন

ইজরায়েল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি হওয়ার পরপরই ডোনাল্ড ট্রাম্পকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে, বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসন চলমান গাজা যুদ্ধে ইস্রায়াইসকে ১৭ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি সরবরাহ করেছে। তবুও, ইস্রায়েলীয়রা ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কমলা হ্যারিসের পরাজয় ‘উদযাপন’ ​​করেছে।

কারণ ট্রাম্প ইতিহাসের বৃহত্তম ইজরায়েল ভক্ত মার্কিন রাষ্ট্রপতি। ট্রাম্প নিজেই এমন দাবি করেছেন।

ট্রাম্প ২০১৬ সালে প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রপতি হন। সেই সময় তিনি ইস্রায়েলের পক্ষে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে অনেক কাজ করেছিলেন। তার প্রথম রাজত্বকালে, ইজরায়েল ফিলিস্তিনের পশ্চিম পাশে রেকর্ড পরিমাণ জমি দখল করেছিল। যদিও অবৈধভাবে ফিলিস্তিনি অঞ্চল দখল করা হয়েছে, ট্রাম্প এবং তার প্রশাসন এ সম্পর্কে কিছুই বলেনি।

Advertisements

বৈরুতের কেন্দ্রস্থলে ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৬

এছাড়া জেরুজালেমকে ২০১৮ সালে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। সে বছর জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্র তাদের দূতাবাস খোলে , যে সিদ্ধান্তে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ ফিলিস্তিনিরা। সেই সময় গাজা সীমান্তে ফিলিস্তিনিদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। এদিকে ট্রাম্প-কন্যা ইভানকা ট্রাম্প মার্কিন দূতাবাস খোলার জন্য জেরুজালেমে পৌঁছেছিলেন। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিরা তাদের রক্ত ​​দিচ্ছিল যখন ইভানকা হাসিমুখে দূতাবাসটি উদ্ভোধন করছিল।

যদিও আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র জেরুজালেমকে ইস্রায়েলের রাজধানী হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে , তারপরও তারা স্বপ্ন দেখছে যে পূর্ব জেরুজালেমের বেশিরভাগ বাসিন্দারা ফিলিস্তিনি এবং স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাজধানী জেরুজালেম হিসেবেই থাকবে।

এছাড়া ২০১৮ সালে দখলকৃত গোলান হাইটকে ইসরাইলের অংশ হিসেবে স্বীকৃতি দেন ট্রাম্প। যা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ।

প্রথমবার প্রেসিডেন্ট থাকা অবস্থায় ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রকে জাতিসংঘের মানবিধার কাউন্সিল থেকে প্রত্যাহার করে নেন এবং ফিলিস্তিনিদের জন্য বরাদ্দকৃত মার্কিন সহায়তা বন্ধ করে দেন।

২০২০ সালে ট্রাম্প কথিত ‘শান্তি পরিকল্পনা’ প্রস্তাব করেন। এতে জেরুজালেমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ইসরাইলের হাতে থাকা, অবৈধ বসতিকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং ফিলিস্তিনি সীমান্তগুলোতে ইসরাইলের নিয়ন্ত্রণ থাকার কথা বলা হয়। এই পরিকল্পনায় তিনি এমন এক ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের প্রস্তাব দেন যেখানে এক অংশের সঙ্গে আরেক অংশের কোনো সংযোগ নেই। অর্থাৎ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ভূখণ্ড নিয়ে ফিলিস্তিনি গঠিত হবে। আবার এই স্বাধীন ফিলিস্তিনের নিয়ন্ত্রণ থাকবে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর হাতে।

এছাড়া ইসরাইলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনে বড় ভূমিকা রাখেন ট্রাম্প। এসব তিনি করেছেন স্বাধীন ফিলিস্তিন গঠন ছাড়াই। যা যুক্তরাষ্ট্রের নীতির স্ববিরোধীতা।

সূত্র: আলজাজিরা

Advertisements

Leave a Reply