সূরা ইখলাসের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ – Surah Ikhlas bangla

0
253
সূরা ইখলাসের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ - Surah Ikhlas bangla
সূরা ইখলাসের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ - Surah Ikhlas bangla
Advertisements
5/5 - (1 vote)

সূরা ইখলাসের বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ – Surah Al – Ikhlas Bangla – surah ikhlas bangla

সূরা ইখলাস পবিত্র কুরআনের ১১২তম সূরা। এটি মক্কায় অবতরণ করে। এর রুকু ১, আয়াত ৪.

এই সূরাটি তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদ ঘোষণা করার পরে আল্লাহর বংশধরের নামে মিথ্যা ধারণার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা হয় এই সূরার মাধ্যমে । আল্লাহ সকল অভাবের উর্ধ্বে এবং তার কোন তুলনা নেই।

সুরা ইখলাসের বাংলা উচ্চারণ ( surah ikhlas bangla uccharon):

  • কুল হুওয়াল্লা হু আহাদ
  • আল্লা হুসসামাদ
  • লাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইউলাদ
  • ওয়ালাম ইয়াকুল্লাহু কুফুওয়ান আহাদ

সুরা ইখলাসের অর্থ:

পরম করুণাময় পরম দয়াময় আল্লাহর নামে
  • ১.বলো তিনি আল্লাহ (যিনি) অদ্বিতীয়
  • ২.আল্লাহ সবার নির্ভরস্থল
  • ৩.তিনি কাউকে জন্ম দেননি ও তাঁকেও কেউ জন্ম দেয়নি
  • ৪.আর তাঁর সমতুল্য কেউ নেই।
Bangla MeaningAyat & OrthoUccharon & English Meaning
قُلْ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌقُلْ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌকুল হুওয়াল্লা-হু আহাদ।
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক,Say: He is Allah, the One and Only;
ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُٱللَّهُ ٱلصَّمَدُআল্লা-হুসসামাদ।
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী,Allah, the Eternal, Absolute;
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْلَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْলাম ইয়ালিদ ওয়ালাম ইঊলাদ।
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নিHe begetteth not, nor is He begotten;
وَلَمْ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌۢوَلَمْ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌۢওয়া লাম ইয়াকুল্লাহূকুফুওয়ান আহাদ।
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই।And there is none like unto Him.

Surah al ikhlas with bangla translation

সূরা ইখলাস অবতীর্ণ হওয়ার কারণ

কাফেররা হজরত মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-কে আল্লাহর বংশপরিচয় সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিল, যার জন্য এই সূরাটি অবতীর্ণ হয়েছিল। কোন কোন রেওয়ায়েতে তারা এটাও জিজ্ঞেস করেছেন, আল্লাহ কিসের তৈরি- সোনা-রূপা না অন্য কিছু? এর জবাবে সূরাটি অবতীর্ণ হয়।

Advertisements

হজরত আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) থেকে একটি বর্ণনায় উল্লেখ করা হয়েছে যে, একটি যুদ্ধে নবীয়ে পাক (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) একজন ব্যক্তিকে নেতা নিযুক্ত করেছিলেন, তিনি নামাজে ইমামতি করার সময় সুরা ফাতিহা এবং অন্য সুরা শেষে প্রতি রাকাতেই সূরা ইখলাস পড়তেন।

যখন লোকেরা যুদ্ধ থেকে ফিরে এ বিষয়ে অভিযোগ করে, তখন তিনি লোকটিকে ডেকে কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। লোকটি উত্তর দিল যে এই সূরাটিতে সে আল্লাহর পরিচয় পেয়েছে, তাই সে এই সূরাটিকে ভালবাসে। একথা শুনে নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, তাহলে আল্লাহও তোমাকে ভালোবাসেন।

হজরত জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু)–র বরাতে বলা হয়েছে যে রাসুলুল্লাহ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেছেন, যে ব্যক্তি তিনটি কাজ ইমানের সঙ্গে করতে পারবে জান্নাতের যেকোনো দরজা দিয়ে সে প্রবেশ করতে পারবে:

  • ১. যে হত্যাকারীকে ক্ষমা করে দেবে।
  • ২. যে গোপন ঋণ পরিশোধ করবে।
  • ৩. যে প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে। (তাফসিরে কাসির)

সুরা ইখলাসে আল্লাহর একত্ববাদের ঘোষণা করা হয়েছে ।

সুরা ইখলাসে তওহিদের শিক্ষা

ইসলামের সারমর্ম হল তাওহীদ ও রেসালাত। এই সূরা শিক্ষা দেয় যে আল্লাহ এক ও অদ্বিতীয়। তিনি কাউকে জন্ম দেননি, তিনি কারও থেকে জন্ম নেননি, তিনি কোন কিছুর সমান নন।

  • কোরআন শরিফ আমাদের তিনটি মৌলিক জিনিস শেখায়:
    ১.তওহিদ
  • ২.আখিরাত
  • ৩.রিসালাত

অর্থাৎ আল্লাহর বাণী, রাসূল ও পরকাল । অন্য যে কোন বিশ্বাস এই তিনটির মধ্যেই স্থানান্তরিত । ইসলামের মূল ভিত্তি হল আল্লাহর প্রতি ইমান আনা, তার নবীদের প্রতি ইমান আনা, পরকালে বিশ্বাস করা, তার সৃষ্টি ফেরেস্তাদের প্রতি ইমান আনা এভাবে ইমানের সাতটি স্তর রয়েছে । এছারা ইমানের ৭৭টি শাখা প্রশাখা রয়েছে ।

আল্লাহ, পরকাল ও আল্লাহর রাসূলের প্রতি বিশ্বাস এবং অগাধ ভালবাসাই ইমানের মূল। আমরা যখন বলি আমরা আল্লাহকে বিশ্বাস করি, তখন আমরা আল্লাহর সমস্ত নাম, গুণাবলী এবং কাজকে বুঝি। আমি যখন বলি, পরকালে বিশ্বাস, মানে কবরের জীবন, বিচার দিবস, জান্নাত, জাহান্নাম। আর যদি বলেন রাসুলে পাক সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ভালবাসেন বা তার উপর ইমান এনেছেন এই ক্ষেত্রে তার প্রতি পরিপূর্ণ মুহাব্বত ও ভালবাসা থাকা চাই ।

এভাবে চিন্তা করলে বুঝবেন ঈমানের এক তৃতীয়াংশ আল্লাহর প্রতি ঈমান। আর এই সূরায় আল্লাহর প্রতি ঈমানের বর্ণনা রয়েছে। এই সূরায় যা বলা হয়েছে তা যদি কেউ বুঝতে পারে তবে সে ইসলামের পথ শুরু করার সারমর্ম বুঝতে পেরেছে।

Advertisements

Leave a Reply