জগদীশচন্দ্র বসু অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

0
197
অফিস ছুটির জন্য আবেদন
অফিস ছুটির জন্য আবেদন
Advertisements
Rate this post

জগদীশচন্দ্র বসু অনুচ্ছেদ

জগদীশচন্দ্র বসু অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র
জগদীশচন্দ্র বসু অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র

জগদীশচন্দ্র বসু অনুচ্ছেদ | বাংলা ২য় পত্র – বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু ১৮৫৮ সালের ৩০শে নভেম্বর মুন্সিগঞ্জ জেলার রাঢ়িখাল গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। অঞ্চলটি তখন বিক্রমপুর নামে পরিচিত ছিল। বাবা ভগবানচন্দ্র বসু তাঁর কাজ শুরু করেছিলেন ময়মনসিংহ জেলা স্কুলের হেডমাস্টার হিসেবে। কয়েক বছর পর তিনি ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট হয়ে অন্য জায়গায় চলে যান। তিনি মনে করতেন, লেখাপড়া শুরু করা উচিত মাতৃভাষা বাংলা দিয়ে। তারপরে ইংরেজি পড়া।

জগদীশ বাংলা ভাষায় তাঁর লেখাপড়া আরম্ভ করেছিলেন। একটু বড়ো হয়ে তিনি কলকাতায় হেয়ার স্কুলে ভর্তি হন। তারপর ভর্তি হন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে। সেখান থেকে তিনি ১৮৭৯ সালে বিএ পাশ করেন। এই কলেজে থাকাকালে তিনি ইউজিন লাফোঁ নামে একজন শিক্ষকের কাছাকাছি আসেন। এই শিক্ষক জগদীশের মনে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে আগ্রহ সৃষ্টি করেন। এই আগ্রহ পরবর্তীকালে তাঁকে বিপুলভাবে প্রভাবিত করে।

সেন্ট জেভিয়ার্স থেকে পাশ করার পর ১৮৮০ সালে ডাক্তারি পড়ার জন্য জগদীশ ইংল্যান্ডে যান। সেখানে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কিন্তু লাশ-কাটা শিখতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন ইংল্যান্ডে ছিলেন আনন্দমেহান বসু। তিনি ছিলেন প্রথম বাঙালি র‍্যাংলার। র‍্যাংলার হচ্ছে গণিতের সবচেয়ে উঁচু ডিগ্রি। তাঁর সাহায্যে জগদীশ কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রাইস্ট কলেজে ভর্তি হন। তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে কাজ করেন লর্ড র‍্যালে এবং অন্য কয়েকজন নাম-করা শিক্ষকের অধীনে। র‍্যালে পরে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন।

Advertisements

জগদীশ সাধারণ ডিগ্রি না করে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানে ট্রাইপস ডিগ্রি করেন ১৮৮৪ সালে। ঐ একই বছর তিনি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রিও পার করেন। কয়েক বছর পর তিনি পচন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিএসসি ডিগ্রির পান।

জগদীশ ছিলেন পদার্থ-বিজ্ঞানী। তিনি পদার্থ-বিজ্ঞানের অনেকগুলি জিনিস আবিষ্কার করেছিলেন। মানুষ এসব জিনিসের কথা আগে জানত না। যেমন, বৈদ্যুতিক চুম্বক-তরঙ্গের কথা। এই তরঙ্গ এতটা লম্বা যে, তাকে কাজে লাগানো যায় না। জগদীশ খুব ক্ষুদ্র দৈর্ঘ্যের বিদ্যুৎ-তরঙ্গ আবিষ্কার করেন। একে বলে মাইক্রোওয়েভ। তিনি মাত্র ৫ মিলিমিটার দৈর্ঘ্যের তরঙ্গ সৃষ্টি করেছিলেন। এখন যে রেডিয়ো-টেলিভিশন, ইন্টারনেট, মাইক্রোওয়েভ কুকার ইত্যাদি দেখতে পাই, সেগুলো জগদীশ বসুর আবিস্কারের ওপর নির্ভর করে তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন……

 

Advertisements

Leave a Reply