দরূদে ইবরাহিমির ফজিলত

0
249
দুশ্চিন্তা দূর করার দোয়া | Prayer to remove anxiety
দুশ্চিন্তা দূর করার দোয়া | Prayer to remove anxiety
Advertisements
Rate this post

দরূদে ইবরাহিমির ফজিলত

দরূদে ইবরাহিমির ফজিলত

রাসুল (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠ অনেক বেশি ফজিলতের। দরুদ পাঠ রহমত ও বরকত লাভের অন্যতম উপায়। স্বয়ং আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে মহানবী (সা.)-এর প্রতি দরুদ পাঠের নির্দেশ দিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন,

‘নিশ্চয় আল্লাহ নবীর উপর রহমত অবতীর্ণ করেন এবং ফেরেশতারা তার জন্য রহমতের দোয়া করেন। সুতরাং হে মুমিনগণ! তোমরাও তার প্রতি দরুদ পড়ো এবং অধিক পরিমাণে সালাম পাঠাও।

Advertisements

(সুরা আহজাব, আয়াত : ৫৬)

মহানবী (সা.)-এর প্রতি হৃদয়ের গভীরে মহব্বত ও ভালোবাসা পোষণ করা এবং তার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দোয়া করা— প্রত্যেক উম্মতের ঈমানি কর্তব্য।

দরুদে ইব্রাহিম বেশ ফজিলতপূর্ণ। পাঁচ ওয়াক্ত সালাতে এই দরুদ পড়া হয়। সালাত ছাড়াও অন্যান্য যেকোনো সময় এই দরুদ শরিফ পাঠে রয়েছে মুস্তাহাব সওয়াব।

দরূদে ইবরাহিম:

اَللّهُمَّ صَلِّ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا صَلَّيْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَجِيْدُ، اَللّهُمَّ بَارِكْ عَلى مُحَمَّدٍ وَّعَلى آلِ مُحَمَّدٍ كَمَا بَارَكْتَ عَلى إِبْرَاهِيْمَ وَعَلى آلِ إِبْرَاهِيْمَ إِنَّكَ حَمِيْدٌ مَّجِيْدٌ

দরূদে ইবরাহিমির উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ, কামা সাল্লাইতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। আল্লাহুম্মা বারিক আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আলা আলি মুহাম্মাদ- কামা বারাকতা আলা ইবরাহিমা ওয়া আলা আলি ইবরাহিমা ইন্নাকা হামিদুম মাজিদ। 
দরূদে ইবরাহিমির অর্থ : 

হে আল্লাহ! তুমি মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তাঁর বংশধরের উপর রহমত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত।

হে আল্লাহ! তুমি হজরত মুহাম্মদ ও তার বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ কর, যেমন তুমি হজরত ইব্রাহিম ও তার বংশধরের উপর বর্কত বর্ষণ করেছ। নিশ্চয় তুমি প্রশংসিত গৌরবান্বিত। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ১২৯১)

আরো কিছু দরুদ শরীফের ফজিলত

হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিম্নের দরূদ পাঠ করবে তার জন্য আমার শাফায়াত ওয়াজিব হয়ে যাবে।
উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিও ওয়া আনযিলহুল মাক-আদাল মুকাররাবা ইনদাকা ইয়াওমাল কিয়ামাহ। -নাসাঈ ও আহমদ
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি নিম্নের দরূদ পাঠ করবে তার সওয়াব লেখার জন্য সত্তর জন ফেরেশতাকে এক হাজার দিন পর্যন্ত মশগুল রাখা হবে।
উচ্চারণ :
জাজাল্লাহু আন্না মুহাম্মাদান মাহুয়া আহলুহু। -তাবরানি
বলা হয়েছে, নিম্নের দরূদটি প্রত্যেহ ১০০ বার পাঠ করলে দ্বীন ও দুনিয়ার সমুদয় সফলতা অর্জিত হয়। ব্যর্থতা দূরে চলে যায়। এই দরূদটি ইসমে আজম নামে খ্যাত। দরূদটি হলো-
উচ্চারণ :
আল্লাহু রাব্বু মুহাম্মাদিন সাল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লামা নাহনু উম্মাতু মুহাম্মাদিন সাল্লা আলাইহি ওয়া সাল্লাম। -বোখারি শরিফ
হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি চায় যে তার মাল-সম্পদ বৃদ্ধি হোক সে যেন নিম্নের দরূদ শরিফের ওপর আমল করে। এই দরূদটি প্রতিদিন একশ’ বার পাঠ করার কথা বলা হয়েছে।
উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা সাল্লি আলা মুহাম্মাদিন আবদিকা ওয়া রাসূলিকা ওয়া সল্লি আলাল মুমিনিনা ওয়াল মুমিনাতি ওয়াল মুসলিমিনা ওয়াল মুসলিমাত। -বোখারি শরিফ
সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত দরূদ হচ্ছে-
উচ্চারণ :
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
এই সংক্ষিপ্ত দরূদ পড়লেও দরূদ পাঠের ফজিলত পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন……
Advertisements

Leave a Reply