ইসরায়েলের সব গ্যাসক্ষেত্র একযোগে ধ্বংস করবে: আইআরজিসি
ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) হুঁশিয়ারি দিয়েছে যে ইরানে নতুন কোনো আগ্রাসনের চেষ্টা করা হলে অধিকৃত ইসরাইলের সব জ্বালানি স্থাপনা একসঙ্গে ধ্বংস করা হবে।
IRGC ডেপুটি কমান্ডার মেজর জেনারেল আলি ফাদাভি শুক্রবার লেবাননের আল-মায়াদিন টিভি চ্যানেলের সাথে এক সাক্ষাত্কারে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে ইসরায়েল যদি ইরানে হামলা চালায় তবে তারা তার অস্তিত্বকে ঝুঁকিতে ফেলবে। নিউজ ইজ পারস্টুডে।
তিনি বলেন, দখলদার সরকার যদি কোনো ভুল করে তাহলে আমরা এটির জ্বালানির সকল উৎস, সবগুলো বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, সব তেল শোধনাগার ও গ্যাস ক্ষেত্রগুলোতে একযোগে হামলা চালাবো।
ইসরাইল দুই সপ্তাহ ধরে লেবাননের নাগরিকদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আসছে। এর জবাবে মঙ্গলবার রাতে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায় বড় ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। তেল আবিব পরে ইরানের তেলক্ষেত্রে হামলার হুমকি দেয়। সেই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতেই এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জেনারেল ফাদাভি। তিনি বলেন, ইরান বহুমুখী অর্থনৈতিক কেন্দ্রের একটি বিশাল দেশ, যেখানে ইসরায়েলের মাত্র তিনটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং কয়েকটি শোধনাগার রয়েছে।
ওইসব কেন্দ্রে একযোগে হামলা চালানোর সমক্ষমতা আমাদের রয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন জেনারেল ফাদাভি।
ইরানের সেনাবাহিনীর কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুররহিম মুসাভি শুক্রবার আল-মায়াদিনকে বলেছেন, ইসরাইল যদি কোনো কাঁচা কাজ করে তাহলে তাকে ‘ভয়ানক ও ধ্বংসাত্মক জবাব’ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অতীতে ধৈর্যের চরম পরাকাষ্ঠা প্রদর্শন করেছি, কিন্তু এখন আমরা উপযুক্ত সময়ে নিখুঁত ও ধ্বংসাত্মক জবাব দেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছি। ইসরাইল যেকোনো পর্যায়ে যতখানি আগ্রাসন চালাবে তেহরান তার চেয়ে শক্তিশালী জবাব দেবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে এই দশকের সবচেয়ে বড় সামরিক অভিযান শুরু করে গাজার হামাস সরকার। এর পরপরই গাজায় বিমান হামলা ও স্থল হামলা শুরু করে ইসরাইল। হামলায় ৪২,০০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছিল, যাদের বেশিরভাগই মহিলা এবং শিশু। এছাড়া আহত হয়েছেন এক লাখের বেশি মানুষ।